কুড়িগ্রাম উলিপুরে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মামলায় উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারন সম্পাদক ওবায়দুর রহমান বুলবুলকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে আদালত।
আজ রোববার (১৭ মার্চ) দুপুর আনুমানিক ১২টায় কুড়িগ্রাম চিফজুটিসিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালতে জামিন পেতে উপস্থিত হলে তাঁকে আটক করা হয়।
এর আগে, মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহবায়ক আবু জাফর সোহেল রানার স্ত্রী নাজমা বেগম বাদি হয়ে উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি হায়দার আলী মিঞা ও সাধারন সম্পাদক ওবায়দুর রহমান বুলবুলসহ ৭৮জন নামীয় ও অজ্ঞাত আরো ৫০জন সহ মোট ১২৮ জনের বিরুদ্ধে উলিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহবায়ক আবু জাফর সোহেল রানার সাথে উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি হায়দার আলী মিঞার রাজনৈতিক বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত ২৭ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮ টায় আসামীগন হাতে ধারালো অস্ত্রশস্ত্রে অতর্কিতভাবে ১ নং আসামী উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি হায়দার আলী মিঞার হুকুমে উলিপুর মধ্যবাজারে কৃষকদল নেতা আবু জাফর সোহেল রানার বসতবাড়িতে প্রবেশ করে ভাঙ্গচুর করেন। এসময় কৃষকদল নেতার স্ত্রী নাজমা বেগম বাঁধা দিলে আসামীগন তাৎক্ষণিকভাবে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় আসামীগন শয়নঘরে প্রবেশ করে বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙ্গচুর করেন। একপর্যায়ে ১নং আসামীর হুকুমে অন্যান্য আসামীগন ঘরে থাকা আসবাবপত্রে আগুন দেয়। এতে ঘরের দু’টি ফ্রিজ, এলইডি টিভি, ওভেনসহ বিভিন্ন জিনিস ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পুড়ে যায়। এরপর ঘরের শোকেজের ড্রয়ারে থাকা ৭ ভূরি স্বর্ণালঙ্কার ও দু’টি ফিজিয়ান গাভী চুরি করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হায়দার আলী মিঞা জানান, মামলায় যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারাসহ আরও অনেকেই আমরা নিহত আশরাফুলের মরদেহ নিয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত উলিপুর হাসপাতালেই ব্যস্ত ছিলাম। উলিপুর বাজারে বিচ্ছিন্নভাবে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা আমরা অবগত নই। রাজনৈতিক ভাবে সুনামক্ষুন্নের জন্য আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply