শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলায় কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফজলে নুর তানু ও উলিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আহসান হাবিব রানাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন, কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল আলম।
এর আগে রোববার (২৭ অক্টোবর) রাত ১০ টার দিকে কুড়িগ্রাম পৌর শহর থেকে সদর থানা পুলিশ ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) যৌথ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ গত ৪ আগস্ট কুড়িগ্রাম শহরের শাপলা চত্বরে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষে মাথায় ঢিল লেগে আহত হন আশিক। তার অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এবং পরে ১৮ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় (১ সেপ্টেম্বর) রবিবার মারা যান। নিহত আশিক জেলার উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের সাতভিটা গ্রামের কৃষক চাঁদ মিয়ার ছেলে। পাঁচপীর ডিগ্রি কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
গ্রেপ্তার ফজলে নুর তানু কুড়িগ্রাম পৌরসভা এলাকার ৩নং ওয়ার্ডের সবুজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং একই এলাকার আহসান হাবিব রানা তিনি উলিপুর উপজেলার এল.কে আমিন ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। পুলিশ জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে কুড়িগ্রামের শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে গত ৪ আগস্ট কুড়িগ্রাম শহরের শাপলা চত্বর এলাকায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছাত্র জনতার সংঘর্ষ হয়। এঘটনায়
শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান আশিক (২৪) মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন। এরপর পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গত ১০ অক্টোবর রুহুল আমিন নামে এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে ১০৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল আলম বলেন, শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলায় তানু ও রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হবে।
Leave a Reply