1. ajkerkagojbd22@gmail.com : Ajker Jagoj : Ajker kagoj
  2. asikkhancoc085021@gmail.com : asikengg :
  3. minniakter1@gmail.com : minni akter : minni akter
বাংলার সাংস্কৃতিক চেতনার ধারক প্রবোধচন্দ্র সেনের শুভ জন্মদিন আজ - Ajker Kagojbd
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ০২:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
জুলাই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার মামুনের অপেক্ষা শেষ হচ্ছে ১৯ লাখ পরীক্ষার্থীর চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকা থেকে ৩৯ কেজি গাঁজাসহ ৪ জন গ্রেপ্তার কুমিল্লায় ভ্রাম্যমান আদালত এক ভুয়া ডাক্তারকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা ববি’র ক্যাফেটেরিয়ার খাবারে পোকা, চিরকুট লিখে অভিনব প্রতিবাদ ভুক্তভোগীর ভোলার নোমান হাসানের বিসিএস সাফল্যের হৃদয়স্পর্শী গল্প ববিতে জুলাই কর্মসূচির পরিকল্পনা সভায় আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের উপস্থিতি, সভা বর্জন শিক্ষার্থীদের নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার হবে: আমিনুল হক ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার: প্রেস সচিব ৫ অতিরিক্ত ডিআইজিসহ পুলিশের ১৬ কর্মকর্তাকে বদলি

বাংলার সাংস্কৃতিক চেতনার ধারক প্রবোধচন্দ্র সেনের শুভ জন্মদিন আজ

উজ্জ্বল কুমার সরকার
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪
শেয়ার করুন

আজ ২৭ এপ্রিল প্রবোধচন্দ্র সেন ( ২৭ এপ্রিল, ১৮৯৭ – ২০ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৬) এর শুভ জন্মদিন। তিনি ১৮৯৭ সালের আজকের দিনে কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রখ্যাত বাঙালি ছান্দসিক, রবীন্দ্র-বিশেষজ্ঞ ও ঐতিহাসিক । ঊনিশ শতকের যুক্তিবাদ, মানবতাবাদ এবং সাংস্কৃতিক চেতনার ধারক ছিলেন তিনি।

প্রবোধচন্দ্র সেনের জন্ম ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ২৭ শে এপ্রিল অবিভক্ত বাংলার বর্তমানে বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমার চুন্টা গ্রামে। পিতার নাম হরদাস সেন ও মাতার নাম স্বর্ণময়ী সেন। তার প্রাথমিক পড়াশোনা গ্রামের পাঠশালা ও স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তারপর তার স্কুল ও কলেজ জীবন অতিবাহিত হয় কুমিল্লা শহরে। ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে সিলেটের মুরারিচাঁদ কলেজ থেকে ইতিহাসে অনার্সে নিয়ে বি.এ পাশ করেন। ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে এম.এ পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে স্বর্ণপদক লাভ করেন। এম.এ পাশের পর তিনি রামকৃষ্ণ গোপাল ভাণ্ডারকর ও পরে হেমচন্দ্র রায়চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে প্রাচীন বাংলার ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করেন। তার ইতিহাস প্রীতির মূলে ছিল স্বদেশপ্রেম। ছাত্রাবস্থায় তিনি অনুশীলন সমিতির সদস্য ছিলেন। রাজদ্রোহী সন্দেহে ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে বৃটিশ সরকার তাঁকে গ্রেফতার ও কারারুদ্ধ করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে অন্যান্য কারাবন্দীদের সাথে ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে মুক্তি পান।

প্রবোধচন্দ্র কলেজে পড়ার সময় ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে “বাংলাছন্দ” নামে এক দীর্ঘ প্রবন্ধ রচনা করেন এবং সেটি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, মোহিতলাল মজুমদার, কুমুদরঞ্জন মল্লিক, কালিদাস রায়, কাজী নজরুল ইসলাম প্রমুখ বাংলার কবিগণের প্রশংসা অর্জন করেন। ধারাবাহিক ভাবে প্রবাসী পত্রিকায় প্রকাশিত সে প্রবন্ধে বাংলা ছন্দের আলোচনা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। তিনিও ভূয়সী প্রশংসা করে তাঁকে “ছান্দসিক” অভিধায় ভূষিত করেন। তারপর তিনি দীর্ঘ ষাট বৎসরের অধিককাল বাংলা ছন্দের উপর বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা ও পরিভাষা রচনা করে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। তার বাংলা ছন্দ সম্পর্কিত উল্লেখযোগ্য রয়েছে।

তিনি ১৯৮৬ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ৮৯ বছর বয়সে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে মৃত্যুবরণ করেন।

এই বিভাগের আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *