২০২৩ সালের আগস্ট মাসে রাজধানীর মিরপুরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ৬ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষনা করে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদল। যুবদলের এই কমিটিতে কাউসারকে আহ্বায়ক ও সোহাগ শেখকে সদস্য সচিব করে ৪ জন যুগ্ম আহ্বায়ক রাখা হয়। ৪ যুগ্ম আহ্বায়করা হলেন জামাল হোসেন রানা , শাওন হাওলাদার ,সাগর দেওয়ান, ইব্রাহীম ইসলাম ।
৫ আগস্টের পর রাজধানীর পল্লবীতে এক নারীর কাছে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগে ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের আহ্বায়ক কাউসারকে বহিষ্কার করে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদল। মিরপুর ৭ নম্বরের বাসিন্দা মর্জিনা বেগম নামে এক নারীর কাছে আড়াই লাখ টাকা চাঁদা চান যুবদল নেতা কাউসার। ময়লার চাঁদার টাকা না দেওয়ায় ওই নারী ও তার ছেলে মেয়েকে মারধর করেন কাউসার। এই ঘটনায় গত বছরের ২৩ অক্টোবর কাউসারকে যুবদল থেকে বহিষ্কার করা হলেও তা প্রত্যাহার হয়নি। এ দিকে গতকাল সোমবার রাজধানীর মিরপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে জামাল হোসেন রানা নামে এক যুবদল নেতাকে গ্রেফতার করে যৌথ বাহিনী। মিরপুর ৬ নম্বর কাঁচা বাজারে চাঁদাবাজি করার সময় জামাল হোসেন রানাকে আটক করে সেনাবাহিনীকে খবর দেয় জনতা।
এ ঘটনায় জামাল হোসেন রানা সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্লবী থানায় একটি মামলা হয়। মামলার বাদি নেকিব হাছান। মামলার আসামিরা হলেন জামাল হোসেন রানা, শেখ সোহাগ, শেখ ইব্রাহিম ইসলাম , সাগর দেওয়ান, শাওন হাওলাদার । মামলার আসামিরা সবাই মিরপুরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের যুবদলের রাজনীতির সাথে জড়িত। এর মধ্যে রানা মিরপুরের ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক, সাগর দেওয়ান ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক , শেখ সোহাগ ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য সচিব, ইব্রাহিম ইসলাম ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক, শাওন হাওলাদার ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক।
ব্যসবসায়ীরা জানান যুবদল নেতা রানা ও মামলার আসামিরা ৫ আগস্টের পর মিরপুর ৬ নম্বর বাজারের মাছের আড়ত ও আড়তদার সমিতি দখলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। ঘটনার আগের দিন রোববার রাত ৯ টায় জামাল হোসেন রানা তারা লোকজনকে নিয়ে মিরপুর ৬ নম্বর মা বাবার দোয়া মাছের আড়তে গিয়ে চাঁদা ও ব্যবসার ভাগ চায়। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আড়তের মালিক নেকিব হাছান কে হুমকি দেয় চাঁদাবাজরা । চাঁদার টাকা না পেয়ে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র , বড় ছুরি , লোহার পাইপ, চাপাতি দিয়ে মাছের আড়তদারদের উপর আক্রমন করে। মাছের দোকান ভাংচুর করা হয়। বাজারে গন্ডগোল দেখে ব্যবসায়ী ও আশপাশের লোকজন পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে খবর দিলে পুলিশ এসে জামাল হোসেন রানাকে আটক করলেও অন্যরা পালিয়ে যায়।
পল্লবী এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের রাজনীতির সাথে জড়িত কয়েকজন সক্রিয় কর্মী নাম না প্রকাশে বলেন চাঁদাবাজির মামলায় সবাই পলায়ন করেছে। তাহলে ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের আর অস্তিত্ব রইল কই। সাংগঠনিক কার্যক্রম কিভাবে চলবে। পল্লবী থানা যুবদলের সভাপতি নুর সালাম ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের ৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সবার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগের কথা শিকার করে বলেন আমরা দেখে শুনে ভালো লোককে কমিটিতে এনেছি। নের্তৃত্ব পাওয়ার পর কেউ যদি অপকর্ম করে তার দায়ভার সংগঠন নিবেনা। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সেক্রেটারি সাজ্জাদুল মিরাজ বলেন যদি সবার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ প্রমানিত হয় তাহলে ৬ নম্বর ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত করা হবে। কারো অপকমের্র দায় সংগঠন নিবে না।
Leave a Reply