নারী-পুরুষের প্রচলিত অবাধ মেলামেশা ও নাটক-সিনেমার সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই। কারণ, নাটক-সিনেমায় অভিনয় করতে গেলে প্রতিনিয়ত মিথ্যের আশ্রয় নিতে হয়, হারাম সম্পর্ক রাখতে হয়। ইসলামের আইন অনুযায়ী এগুলো নিষিদ্ধ বা হারাম কাজ।
আজকাল নাটক-সিনেমার প্রচারণায় ইসলামকে টেনে আনা হচ্ছে যা অত্যন্ত গর্হিত ও জঘন্য কাজ। হালাল নাটক, হালাল সিনেমা, হালাল নৃত্য, হালাল বাদ্যযন্ত্রে প্রেমের গান, হালাল মদ, হালাল পতিতালয়, হালাল সুদি ব্যাংক, হালাল শুকরের মাংস প্রভৃতি নামে হালাল ও হারামের পার্থক্যকে মিশিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে। অথচ ইসলাম এসব মিথ্যাচার ও নোংরামো সমর্থন করেনা।
নাটক-সিনেমাতে বিয়ের অভিনয় করানো হয়; যা খুব নিন্দনীয় কাজ। আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তিনটি বিষয়ে কথাবার্তা গুরুতর বলেই বিবেচিত হবে- চাই তা গুরুত্বের সাথে বলা হোক বা রসিকতা বশত বলা হোক। যথা: বিয়ে, তালাক ও তালাক প্রত্যাহার।” [আবু দাউদ, তিরমিজী শরীফ, সহিহুল জামে: ৩০২৭- শাইখ আলবানি]
নাটক-সিনেমায় বিয়ের অভিনয়ের নামে এসব নোংরামো ছাড়াও ইসলামের কোন বিধান নিয়ে কেউ যদি হাসি-তামাশা করে তাহলে সে ইসলাম থেকেই বের হয়ে যাবে; সে মুরতাদ বা ইসলাম চ্যুত বলে বিবেচিত হবে।
অভিনেতা-অভিনেত্রীরা তাদের অভিনয়-কর্ম প্রচারণায় আলহামদু-লিল্লাহ, ইনশা-আল্লাহ এসব শব্দ ব্যবহার করেন। হারাম কাজ করে ধর্মকে টেনে এনে এসব কৌশলী ইসলাম বিদ্বেষ এবং ইসলামের প্রকৃত জ্ঞান মানুষের সামনে ভুলভাবে তুলে ধরার জন্য তারা যেন ষড়যন্ত্র স্বরূপ মাঠে নেমেছেন। ইসলামে অশ্লীলতা ও বেহায়াপনার স্থান নেই। অথচ অভিনেতা-অভিনেত্রীগণ, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ তাদের প্রচারণায় আবেগী ও ইসলামপ্রিয় মানুষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এসব কৌশলের আশ্রয় নেন। যার জন্য ইসলামের নীতি ও আদর্শ মানুষের মাঝে ভুলভাবে ছড়িয়ে যায়। তাদের এসব অজ্ঞতা ও মূর্খতার জন্য প্রকৃত ইসলামি শিক্ষাকে মানুষ ভুলতে বসেছে। যারা ইসলামকে ব্যবহার করে নাটক-সিনেমার প্রচারণা চালাবে তাদের সকলকে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখী করা জরুরী।
বিশেষ করে, ঈদের সময় মিডিয়া গুলোও প্রচার করে- ঈদের নাটক, ঈদের অনুষ্ঠান, ঈদের সিনেমা ইত্যাদি। অথচ ওসব প্রোগ্রাম ইসলামি ভাবধারা ও ইসলামি চেতনার পরিপন্থি।
সিনেমায় অবাস্তবকে বাস্তব এবং অসত্যকে সত্য রূপে উপস্থাপন করা হয়। যার সাথে ইসলামি মূল্যবোধ সাংঘর্ষিক।
তারা তাদের মতো প্রচারণা করুক। মুরতাদ হিসেবে সেটা তাদের অধিকার রয়েছে। কিন্তু ইসলামি চেতনাকে কাজে লাগিয়ে ইসলামের মাঝে হালাল-হারামের মিশ্রণ ঘটিয়ে প্রচার করার অধিকার তাদের নেই।
ভন্ড পীর, ভন্ড নাস্তিক এবং এসব ভন্ড ধর্মব্যবসায়ী (নায়ক-নায়িকা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ) ইসলামের প্রকৃত অর্থকে বিতর্কিত করতে একযোগে মাঠে নেমেছে। তাদের চালাকি ও অপকৌশল রুখে দেওয়া ঈমানের দাবী।
Leave a Reply