শিশু থেকে বয়স্ক সবারই পছন্দের খাবার ডিম। ভিটামিন ই, ভিটামিন ডি, আয়রন এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ ডিমকে অনায়াসে ‘সুপার ফুড’বলা যায়। ডিমে থাকা ভিটামিন বি২ শরীরে কোষ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। দৃষ্টিশক্তিও উন্নত করে। কিন্তু আজকাল অনেকেই, বিশেষ করে যারা স্বাস্থ্য সচেতন তারা ডিমের সাদা অংশটি খেলেও ডিমের কুসুমটি এড়িয়ে যান।
অনেকেরই ধারণা, কুসুম খেলে কোলেস্টেরল বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে ওজনও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু ডিমের সাদা অংশই নয়, কুসুমও কিন্তু উপকারী। শুধু সাদা অংশ খেলে
অনেক জরুরি পুষ্টি শরীরে যায় না।
পুষ্টিবিদদের মতে, কুসুমেও অনেক খাদ্যগুণ রয়েছে। ডিমের সাদা অংশের তুলনায় ডিমের কুসুমে বেশি পরিমাণে ভিটামিন থাকে। ডিমে যে সাত প্রকার ভিটামিন আছে তার মধ্যে চারটি অর্থাৎ এ, কে, ই, ডি ভিটামিন শুধু ডিমের কুসুমেই থাকে।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, কুসুম খাওয়ার চেয়ে স্যাচুরেটেড ফ্যাট খেলেও কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা বেশি।
গোটা ডিমে প্রোটিনের পরিমাণ থাকে ৩ দশমিক ৬ গ্রাম। তার মধ্যে ২ দশমিক ৬ গ্রামই থাকে ডিমের কুসুমে। এ ছাড়াও ডিমের কুসুমে থাকে ৯০ শতাংশ ক্যালসিয়াম ও ৯৩ শতাংশ আয়রন। বয়সের কারণে চোখের বিভিন্ন সমস্যা থেকেও সুরক্ষিত রাখে ডিমের কুসুম।
Leave a Reply