রাজধানীর মিরপুরে ছাত্র পরিচয়ে কাজী আব্দুল হক নামে এক মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে । ৬ তারিখ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মিরপুরের শাহআলী থানাধীন ই ব্লকের ৯ নম্বর রোডের একটি বাড়িতে ৪০-৫০ জন দুর্বত্ত এই হামলা চালায়। এ সময় বাড়ির গেট ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে ঘরের লোকজনকে জিম্মি করে লুটপাটচালায় হামলাকারীরা।
এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধোর মেয়ে ফারহানা লিজা মিরপুরের শাহআলী থানায় একটি অভিযোগ দেন। অভিযোগে জানা গেছে ঘটনার দিন রাত আড়াইটায় ছাত্র পরিচয়ে ৪০-৫০ জন দুর্বত্ত বাড়ির গেটে হামলা চালিয়ে ভিতরে ঢুকে। তারা ভিতরে ঢুকে সিসিক্যামরা ভাংচুর সহ ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। হামলাকারীরা বাড়ির সদস্যদের জিম্মি করে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় ও অস্ত্র খোঁজার কথা বলে ঘরের প্রতিটি রুমে তল্লাশি চালিয়ে লুটপাট করে। এ সময় হামলাকারীরা ১২ ভরি স্বর্ন , ৫৬ ও ৪৩ ইঞ্জির ২ টি রঙিন টিভি , বাড়ির দলিল দস্তাবেজ , ৩ টি সাইকেল, ৩ টি ফোন, ইলেকট্রিক সরঞ্জামাধি ,ইলেকট্রিক ওভেন, বাইক, নগদ ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা লুট করে। লুটপাটে বাঁধা দিলে হামলাকারীরা বয়স্ক নারী সহ পরিবারের অন্য সদস্যদের গায়ে হাত তোলেন।
লিজা বলেন এই ঘটনা এলাকার সবাই জানে । ঘটনার সাথে রফিক, তাজ, সাদমান , সাওন,যুথী সহ অনেকে জড়িত। তারা ছাত্র পরিচয় দেয়। আমরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। আমার বাবা ও ভাই কোন রাজনীতির সাথে জড়িত নয়। রাজনীতি করলে তো তাদের দলীয় পদ থাকতো। অনেকে বলে আমার ভাই কাজী আরিফুজ্জামন তরু আওয়ামীলীগ করে। কিন্তু কেউ তা প্রমান দিতে পারবে না। তার কোন দলীয় পদ নেই। আমাদের পরিবারের সবাই ব্যবসায়ী। আমরা বাবা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি ব্যবসা করতেন। ওই দিনের রাতের ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়েছে। জিডি করতে গেলেও পুলিশ জিডি নেয়নি।
শাহআলী থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন ৫ ই ফেব্রুয়ারি রাতে ৩২ নম্বর থেকে ফেরার পথে ২৫/৩০ ছাত্র কাজী ভিলায় (কাজী আব্দুল হকের বাড়ি) ভাংচুর করে। পুলিশ গিয়ে তাদের নিবারন করে। ওই বাড়ির মালিক আওয়ামী লীগ করতো। তার ৩ ছেলেও আওয়ামীলীগ করে । আওয়ামী লীগের আমলে তারা এলাকায় অনেক তাফালিং করেছে। ব্যবসা বানিঝ্যও করেছে। ৫ ই ফেব্রুয়ারি রাতে সারা বাংলাদেশে যেই ঘটনা ঘটেছে ওই বাড়িতেও সেই ঘটনা ঘটেছে।
Leave a Reply