কুড়িগ্রামে অর্থ আত্মসাৎ ও নিয়োগ জালিয়াতির দায়ে মাদ্রাসার সুপার সাইদুর রহমানকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক সাইদুর রহমান জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার কামাত আঙ্গারিয়া মাদ্রাসার সুপারেনটেনডেন্ট।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে তাকে আটক করা হয়।
মামলার বিবরন ও স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ ২২ বছর অফিস সহকারি পদে চাকরি করার পর টাকার বিনিময়ে জালিয়াতি করে গত আগস্ট/২৪ মাসে অফিস সহকারি সফিয়ার রহমানকে এবতেদায়ী জুনিয়র শিক্ষক দেখিয়ে নতুন করে এমপিও ভূক্ত করেন সুপার।
অফিস সহকারী পদে ২০০২ সালে (ইনডেক্স ২৬৯২৩৩২) নিয়োগ পান মোঃ সফিয়ার রহমান এবং ২০১৪ সালের জুলাই মাসে উচ্চতর স্কেল প্রাপ্ত হন। ভুক্তির শর্ত লঙ্ঘণ করে অফিস সহকারি পদ শূন্য দিখিয়ে গোপনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে উক্ত পদে (এসিও) মোঃখালেদুজ্জামানকে নিয়োগ দেন। যার ইনডেক্স (গ০০৫৪১৮০), এমপিও ভুক্তির তারিখ মার্চ/২৪। তার জন্ম তারিখ ১৫/০২/১৯৭৮ ইং। সেই হিসেবে তার বর্তমান বয়স ৪৬ পেরিয়ে গেছে যা এমপিও ভুক্তির শর্তকে লঙ্ঘণ করে।
সুপার সাইদুর রহমান নিয়োগ বিধিমালায় নিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলক হলেও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ভূয়া
নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করে আপন ভাতিজা মোস্তাফিজুর রহমানকে সহকারী মৌলভী পদে নিয়োগ দেন। যার ইনডেক্স নম্বর (ঘ২১২১৭৮৩)।
এবিষয়ে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত
অভিযোগ দাখিল করা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরেজমিন তদন্ত করে অর্থ আত্মসাৎ এর জালিয়াতি সত্যতা প্রমাণিত হয়।
এদিকে ভূক্তভোগী শফিয়ার রহমান কুড়িগ্রাম বিজ্ঞ আমলী আদালতে সুপার সাইদুর রহমানসহ নয় জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ভূরুঙ্গামারী থানাকে এফআইআর করতে নির্দেশ প্রদান করেন। আদালতের নির্দেশে সোমবার দুপুর দুইটায় উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে অভিযুক্ত সুপার সাইদুর রহমানকে আটক করেছে পুলিশ।
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল হেলাল মাহমুদ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রতারণার মামলায় মাদ্রাসা সুপারকে আটক করা হয়েছে।
Leave a Reply