সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন দক্ষিণ কোরিয়ার লেখক হ্যান ক্যাং। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টার দিকে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি।
নোবেল পুরস্কার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মানব জীবনের দুঃখ-কষ্ট কাব্যিকভাবে রূপায়ন করার স্বীকৃতি হিসেবে হান ক্যাংকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তিনি তার প্রত্যেকটি কর্মে মানবজীবনের ভঙ্গুর দিকগুলেঅ তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। ঐতিহাসিকভাবে আমরা যেসব মানসিক প্রতিবন্ধকতা ও অদৃশ্য নিয়মের বেড়াজালে আটকে থাকি তা দেখানোর চেষ্টা করেছেন। দেহ ও মনের মধ্যে যোগাযোগের এক অনন্য চেতনা রয়েছে তার মধ্যে। তার কাব্যিক পরীক্ষায় বারবারই সেই বিষয়টি উঠে এসেছে।
হান ক্যাংয়ের জন্ম ১৯৭০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার শহর গোয়াংজুতে। তার বাবা হান সিউংয় য়ুনও একজন লেখক। লেখালেখির পাশাপাশি হান ক্যাং শিল্প ও সঙ্গীতের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।
২০১৫ সালে ‘দ্য ভেজিটেরিয়ান’ উপন্যাসের জন্য আলোচনায় আসেন তিনি। ২০১৬ সালে এ বইটির জন্য ম্যান বুকার পুরস্কারে ভূষিত হন।
৫৩ বছর বয়সী হান কাংয়ের লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে একটি দক্ষিণ কোরীয় সাময়িকীতে এক গুচ্ছ কবিতা প্রকাশের মধ্য দিয়ে। ১৯৯৫ সালে ছোট গল্পের সংকলন প্রকাশ করেন তিনি। পরবর্তীতে দীর্ঘ গদ্য লেখা শুরু করেন।
এর আগে ২০২৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান নরওয়ের লেখক ও নাট্যকার ইয়োন ফসে। তিনি তার লেখায় অনুচ্চারিত থেকে যাওয়া বহু কথা তুলে এনেছেন। ১৯০১ সালে সাহিত্যে প্রথম নোবেল পুরস্কার পান ফরাসি কবি ও প্রাবন্ধিক সুলি প্রুদোম (১৮৩৯–১৯০৭)।
চিকিৎসা, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, সাহিত্য ও শান্তিতে পুরস্কারগুলো সুইডেনের বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নামে ও তার রেখে যাওয়া অর্থে দেওয়া হয়। সুইডিশ শিল্পপতি নোবেল ডিনামাইটের উদ্ভাবক ছিলেন। তার মৃত্যুর পাঁচ বছর পর ১৯০১ সাল থেকে এ পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। এখন পর্যন্ত মোট ১১৬ জন সহিত্যে নোবেল পেয়েছেন। যাদের মধ্যে ১৭ জন নারী। এ বছর চিকিৎসা, পদার্থ ও রসায়নে নোবেলজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
Leave a Reply