চিকিৎসা ব্যয় মিটাতে না পেরে ছেলেকে বাঁচাতে বিত্তবানদের কাছে এক অসহায় হতভাগ্য বাবা আকুতি জানিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন সাংবাদিকদের কাছে। তখন এলাকায় আবেগঘন এক পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আব্দুর রহমান আবির (১১) বছরের শিশু যেখানে তার বই খাতা নিয়ে স্কুলে যাবার কথা বন্ধুদের সাথে খেলাধুলায়া মেতে থাকবে সেখানে ঘর বন্দি জীবন পার করছে কারণ তিনি অসুস্থ। খেলাধুলা তো দূরের কথা অসুস্থ থাকার কারণে দীর্ঘদিন ঘর বন্দি জীবন পার করতে হচ্ছে তাকে। হতদরিদ্র পরিবারে গড়ে ওঠা আবিরের চিকিৎসার ব্যয়বহুল খরচ মেটাতে এখন বাবা-মার হিমসিম খেতে হচ্ছে কোন কুল কিনারা পাচ্ছে না তারা।
সিএনজি চালক বাবার আয় ইনকামের উপর চলে সংসার তার উপর ছেলের চিকিৎসার খরচ মেটাতেই কষ্ট হচ্ছে অনেক। তার পরও সন্তান বলে কথা ছেলের চিকিৎসার জন্য শেষ সহায় সম্বল টুকু বিক্রি করে কয়েক দফায় বিভিন্ন হাসপাতালে ব্যয়বহুল খরচ দিয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন আবিরের কিন্তু কোন সমাধান হয়নি। ছেলের অপারেশন খরচ মেটাতে এদিক সেদিক ছুটেও কোন লাভ হচ্ছেনা তাই সমাজের বিত্তবান মানুষের কাছে সহযোগীতা আকুতি জানিয়েছেন হতদরিদ্র বাবা আব্দুর রহমান। রাজধানীর মিরপুরের ৬০ ফিট এলাকার মধ্য পীরেরবাগের মিসেস মনোয়ার ইসলামের ৩৪১/১ বাড়ির ছোট্ট একটি ঘরের বসবাস করেন সন্তান ও পরিবার নিয়ে।
জানা গেছে, সিএনজি চালক আব্দুর রহমানের দুই সন্তানের মধ্যে বড় সন্তান আবির প্রস্রাব নালীতে সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছে। আব্দুর রহমান রবিবার ২৪ শে নভেম্বর দুপুরের দিকে তিনি কাঁদতে কাঁদতে “আজকের কাগজকে” জানান, দুই ছেলের মধ্যে আবির বড়। তার বয়স মাত্র ১১ বছর পাঁচ বছর আগে তার ছেলেটি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসা চলাকালীন বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, প্রস্রাব নালীতে সমস্যা তা থেকে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। ডাক্তারদের পরামর্শে তাকে বড় বড় হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে তার পরেও সুস্থ হয়নি। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন রয়েছে তাকে বাঁচাতে হলে অতিদ্রুত অপারেশন করার প্রয়োজন তাই অনেক অর্থ দরকার কিন্তু অর্থ সংকটে ভুগছেন পরিবার। অসুস্থ আবির কান্না জড়িত কন্ঠ “আজকের কাগজকে” বলেন, “আমিও তো মানুষ, আমারও তো আছে বাঁচার অধিকার বই খাতা নিয়ে স্কুলে যাবার”। “তাহলে আজ কেন আমার এই পরিণতি আমি দরিদ্র বলে ! আমিও বাঁচতে চাই সবার মত খেলতে চাই”।
প্রতিদিন তার ওষুধপত্রসহ চিকিৎসা বাবদ অনেক খরচ পড়ছে প্রায় ৮-১০ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত সন্তানের জন্য এলাকার বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে সাহায্য তুলে প্রায় তিন লাখ টাকার বেশি খরচ করেছেন। সামান্য আয়ে সংসার চালানোর পর তার ছেলের চিকিৎসা খরচ কোনোভাবেই জোগাড় করতে পারছেন না তিনি। তিনি আরও জানান, সব মিলিয়ে তার ছেলের চিকিৎসা দিতে আরও ব্যয় হবে প্রায় ৫-৭ লাখ টাকা। সমাজের বিত্তবান এবং দানশীল ব্যক্তির কাছে তার সন্তানের চিকিৎসার জন্য সাহায্য কামনা করেছেন। তাই সমাজের বিত্তবানদের কাছে বিকাশ ও নগদ এই নম্বর 01912-592398 সাহায্য কামনা করেছেন এই হতদরিদ্র পরিবার।
Leave a Reply