1. ajkerkagojbd22@gmail.com : Ajker Jagoj : Ajker kagoj
  2. asikkhancoc085021@gmail.com : asikengg :
  3. minniakter1@gmail.com : minni akter : minni akter
বড়লেখা সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা রিমান্ডে - Ajker Kagojbd
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫১ অপরাহ্ন

বড়লেখা সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা রিমান্ডে

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৩৬ ভিউ
Spread the love

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ব্যাংক কর্মকর্তার দায়ের করা মামলার দুই নং আসামি বড়লেখা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগ নেতা ছালেহ আহমদ জুয়েলকে ১ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। বুধবার (৬ই নভেম্বর) দুপুরে বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জিয়াউল হক এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বুধবার রাতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বড়লেখা থানার এসআই আব্দুর রউফ রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান,বড়লেখা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগ নেতা ছালেহ আহমদ জুয়েলকে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন আদালতে। বুধবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য তারিখ ছিল। ধার্য তারিখে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জিয়াউল হক তার ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য; সৌদি আরব যাওয়ার সময় গত ২৯শে আগস্ট সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বড়লেখা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা ছালেহ আহমদ জুয়েল ও জালাল আহমদকে ইমিগ্রেশন পুলিশ আটক করে বিমানবন্দর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। ওইদিন রাতেই তাদের বড়লেখা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরদিন তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৩ সালে ৩০শে নভেম্বর ইসলামী ব্যাংক বিয়ানীবাজার পিএলসি শাখার অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল মালিক, অফিসার হাফিজ আহমদ, আব্দুল মুকিত ও মাহবুব আহমদ খানকে সাথে নিয়ে বড়লেখা থানা এলাকায় ব্যাংকের নিয়মিত কাজে আসেন। তারা ব্যাংকের দুইটি মোটরসাইকেল যোগে বড়লেখা বাজারসহ বিভিন্ন গ্রাম হতে খেলাপি বিনিয়োগ ১ লাখ ৬৫,০০০/- টাকা আদায়ের পর ইসলামী ব্যাংক বড়লেখা শাখায় জমা দেওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। দুপুর অনুমান সাড়ে ১২টায় ইসলামী ব্যাংক বড়লেখা শাখা সংলগ্ন হ্যাপি কমপ্লেক্সের সম্মুখে পৌঁছালে এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ি ‘ঐ যে জামায়াতের লোক।…দেরকে (খারাপ ভাষায় গালি দিয়ে) মার মার’ বলে দা, লোহার রড, হকিস্টিক, ছুরি, কিরিচ, চাপাতি ইত্যাদি নিয়ে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। হামলায় ব্যাংক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল মালিক, হাফিজ আহমদ, আব্দুল মুকিত, অধ্যক্ষ মাওলানা ফয়জুর রহমান প্রমুখ গুরুতর আহত হন। এসময় বিবাদীরা ব্যাংক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল মালিকের প্যান্টের পকেটে থাকা খেলাপি অর্থ আদায়কৃত বিনিয়োগের ১,৬৫,০০০/ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে পেট্টল ঢেলে পুড়িয়ে দেয়। আসামিরা ব্যাংক কর্মকর্তাদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে মৃত ভেবে রাস্তায় ফেলে যায়। ঘটনার প্রায় ১১ বছর পর গত ৮ই সেপ্টেম্বর রাতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ২০ নেতাকর্মীর নামোউল্লেখ করে মামলা করেন ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড বিয়ানীবাজার শাখার অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল মালিক। মামলায় ৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন- যুবলীগ নেতা মুমিনুল হক টনি, সালেহ আহমদ জুয়েল, কবির আহমদ, ইসলাম উদ্দিন, আলী হোসেন, হারুনুর রশিদ বাদশা, তাজ উদ্দিন, আসাদুজ্জামান আসাদ, আবজাল হোসেন আওয়াল, সাহেদ আহমদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ফরহাদ আহমদ, শামীম আহমদ কালা, আওয়ামী লীগ নেতা ইয়াছিন আলী, এনাম উদ্দিন, শামীম উদ্দিন, জিল্লুর রহমান, কামরুল ইসলাম, শ্রমিকলীগ নেতা সুমন আহমদ, কামাল আহমদ, অজিত দাস।

এই বিভাগের আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *